ইউরোপা লিগের ফাইনালে সেভিয়ার কাছে হেরেছে রোমা। সেদিন রেফারি ছিলেন অ্যান্থনি টেইলর। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটিতে তিনি ১৩টি কার্ড দেখান। হারের পর তাই ক্ষোভ দানা বেধেছে রোমা সমর্থকদের মাঝে। আর তাই হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট বিমানবন্দরে অ্যান্থনি সমর্থকদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, বুদাপেস্ট বিমানবন্দরে টেলর ও তার ওপর চড়াও হয়েছেন একদল রোমা সমর্থক। ভীতসন্ত্রস্ত টেলরের পরিবারের দিকে বোতল ও চেয়ার তুলেও ছুড়ে মারা হয়। নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় এরপর সেই স্থান ত্যাগ করেন টেলর ও তার সঙ্গীরা। টেলরের সঙ্গীদের সঙ্গে ক্ষিপ্ত রোমা সমর্থকদের হাতাহাতিও হতে দেখা যায়। এ ঘটনায় এক ইতালিয়ান নাগরিককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
টেলরের সঙ্গে এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছে ইংল্যান্ডের ম্যাচ অফিশিয়ালদের সংগঠন দ্য প্রফেশনাল গেম ম্যাচ অফিশিয়ালস লিমিটেড (পিজিএমওএল)। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, টেলরের সঙ্গে এমন আচরণ ‘অন্যায্য ও জঘন্য।’
বিবৃতিতে পিজিএমওএল বলেছে, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া টেলর ও তার পরিবারের অপদস্থ হওয়ার ভিডিও পিজিএমওএলের নজরে এসেছে। উয়েফা ইউরোপা লিগ ফাইনাল পরিচালনা করে দেশে ফেরার পথে অ্যান্থনি ও তার পরিবার এমন অন্যায্য ও জঘন্য আচরণের শিকার হয়েছে, যাতে আমরা অবাক হয়েছি। অ্যান্থনি ও তার পরিবারের প্রতি আমাদের পুরো সমর্থন অব্যাহত থাকবে।’
যুক্তরাজ্যের ‘রেফ সাপোর্ট’ নামের আরেকটি সংগঠন বলেছে, ‘এটা খুবই দুশ্চিন্তার ব্যাপার। আশা করি অ্যান্থনি ও তাঁর পরিবার ঠিকঠাক আছে। ম্যানেজারদের মন্তব্য ও খেলোয়াড়দের আচরণে এমন কাজ করতে মানুষ উৎসাহ পায়। এটা দুশ্চিন্তার বিষয়, কারণ আরও গুরুতর কোনো ঘটনা বা খুনও সন্নিকটে।’
বুদাপেস্টের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইতালিয়ান নাগরিককে পুলিশ আটক করে, তাঁর বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে আইনী কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।’