বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ফরাসি নান লুসিল র্যান্ডন মারা গেছেন। ১১৮ বছর বয়সে মঙ্গলবার ঘুমের মধ্যে মারা যান তিনি।
লুসিল র্যান্ডন ১৯৪৪ সালে সন্নাসী হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে সিস্টার আন্দ্রে রাখেন। বয়স বেড়ে যাওয়ার পর তিনি একটি নার্সিং হোমে থাকতেন। সেখানেই ঘুমের মধ্যে মঙ্গলবার না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
১৯০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন র্যান্ডন। জেরোন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপের (জ্যিআরজি) ওয়ার্ল্ড সুপারসেন্টেনারিয়ান র্যাঙ্কিংয়ের তালিকা অনুসারে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
গত বছর ১১৯ বছর বয়সে জাপানের কেন তানাকার মৃত্যুর পরে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক হয়েছিলেন ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির স্বীকৃত পাওয়া র্যান্ডন। ২০২২ সালের এপ্রিলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে তার মর্যাদা স্বীকার করে।
র্যান্ডন, যে বছর নিউইয়র্কে প্রথম পাতাল রেল চালু হয় সেই বছরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আলেসে বসবাসকারী তিন ভাইয়ের মধ্যে একমাত্র মেয়ে হিসেবে তিনি একটি প্রোটেস্ট্যান্ট পরিবারে বেড়ে ওঠেন।
১১৬তম জন্মদিনে একটি সাক্ষাৎকারে এএফপিকে তিনি বলেছিলেন, ১৯১৮ সালে যুদ্ধের শেষে তার দুই ভাইয়ের ফিরে আসা তার সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতিগুলোর মধ্যে একটি। তিনি বলেছিলেন, ‘এটি বিরল ছিল, পরিবারগুলোতে সাধারণত দুজন জীবিতের পরিবর্তে দুজন মৃত ছিল। তারা দুজনই ফিরে এসেছে’।
যে নার্সিং হোমে র্যান্ডন থাকতেন সেটির মুখপাত্র জানান, তিনি প্রায়ই ভাইদের কথা বলতেন। মৃত্যুর পর তাদের সঙ্গে আবারও দেখা হবে বলে মাঝেমধ্যেই বলতেন তিনি।