জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তর কোরিয়া একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসবিএম) নিক্ষেপ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এটি প্রায় ১০০০ কিমি (৬২০ মাইল) উড়ে জাপানের পশ্চিমে পানিতে অবতরণ করে।
এটি এ সপ্তাহে পিয়ংইয়ং থেকে চতুর্থ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, যদিও অন্যগুলো স্বল্পপাল্লার ছিল। খবর বিবিসির।
কোরীয় উপদ্বীপের চারপাশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলমান নৌ মহড়ার মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হলো। উত্তর কোরিয়া বারবার বলেছে, তারা এ ধরনের মহড়াকে উসকানি হিসেবে দেখছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে পিয়ংইয়ং থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্ষেপণাস্ত্রটি আইসিবিএম টাইপ বলে নিশ্চিত করে বলেছে, এটি প্রায় ৭০ মিনিটে ৬০০০ কিলোমিটারের বেশি উড়েছিল।
বৃহস্পতিবারের উৎক্ষেপণের পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল তার দেশের সেনাবাহিনীকে পরিকল্পনা অনুযায়ী যৌথ মার্কিন মহড়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
পিয়ংইয়ং তার বেপরোয়া উসকানির জন্য মূল্য দেবে- বলেন তিনি।
উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ এক মাসেরও কম সময় আগে একটি আইসিবিএম নি াক্ষেপ করেছিল যা জাতিসংঘের জরুরি বৈঠক এবং জি ৭ দেশগুলির নিন্দার জন্ম দেয়।
আইসিবিএমগুলো বিশেষভাবে উদ্বেগজনক কারণ এগুলোর দীর্ঘ পরিসর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ।
বৃহস্পতিবার টোকিওতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাক্ষাতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয় শীর্ষস্থানে থাকবে।
বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর উভয় দেশই তাদের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে।