বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন

দেউলিয়া ভারতীয় বিমান সংস্থা, ফ্লাইট বন্ধ

  • টাইম আপডেট : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩
  • ২৫ কত বার দেখা হয়েছে
দেউলিয়া ভারতীয় বিমান সংস্থা, ফ্লাইট বন্ধ

ভারতের বিমান সংস্থাগুলোর অবস্থা কয়েক বছর ধরেই ভালো নয়। হঠাৎ করে সব বুকিং বাতিল করে দিয়েছে ভারতীয় বিমান সংস্থা গো ফার্স্ট। বাতিল করা হয়েছে সংস্থাটির সব ফ্লাইট। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিমান সংস্থাটি ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল- এনসিএলটিতে দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। স্বেচ্ছায় দেউলিয়া ঘোষণার আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই আবেদন করা হয়েছে।

নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার নেপথ্যে বিকল ইঞ্জিনকে দায়ী করেছে ওয়াদিয়া গোষ্ঠীর মালিকানাধীন গো ফার্স্ট। তাদের দাবি, একের পর এক বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের যে প্র্য়াট অ্যান্ড হুইটনি’জ (পি&ডব্লিউ) ইন্টারন্যাশনাল এ্যারো ইঞ্জিন্স থেকে ব্য়বহৃত ইঞ্জিন তাদের কাছে এসে পৌঁছতো, তার সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে।

Celebrating novo mobile

এর ফলে অর্ধেক বিমান আগেই বসিয়ে দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াদিয়া গোষ্ঠী। তাদের দাবি, অর্ধেক বিমান বসে যাওয়ায় অর্থনৈতিক সংকট এতটাই গ্রাস করে ফেলেছে যে, বাকি বিমান ব্যবহার করেও পরিষেবা ঠিক রাখা সম্ভব নয়।

গো ফার্স্ট জানিয়েছে, দেউলিয়া ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হলে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সংস্থার তরফে পরিষেবা প্রদান করা হবে। তার জন্য ইন্টারিম রেজলিউশন প্রফেশনাল এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সবরকমভাবে সহযোগিতা করবে তারা। সংস্থার বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের দিকটিও দেখা হবে।

জেট এয়ারওয়েজের পর এবার নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার পথে এগোল ভারতের এই বিমান সংস্থা। মঙ্গলবার শুরুতে বুধ এবং বৃহস্পতিবারের সমস্ত বুকিং ক্যানসেল করে তারা। গ্রাহকরা জানিয়েছেন, পরিচালনা সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানিয়ে ইমেইলে বিমান বাতিলের কথা জানানো হয়।

বেশ কিছুদিন ধরেই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বিমান সংস্থাটি। ইঞ্জিন সরবরাহ যেমন রয়েছে, তেমনই এই সমস্যার নেপথ্য়ে তেল সংস্থাগুলোর সঙ্গে বিবাদও দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তেল সংস্থাগুলো বাকিতে জ্বালানি সরবরাহে রাজি নয়। দিনের দিন টাকা মিটিয়ে নেওয়ার নিয়ম শুরু হয়েছে। আর্থিক অনটনের জেরে সেই ধারা মেনে চলতে পারছে না গো ফার্স্ট।

নিজেদের ওয়েবসাইটে গো ফার্স্ট জানিয়েছে, তাদের কাছে ৫৯টি বিমান রয়েছে, যার মধ্যে ৫৪টি এ৩২০ নিও এবং পাঁচটি এ৩২০ সিইও। অর্থনৈতিকভাবে বেশ কিছু দিন ধরেই টালমাটাল অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল সংস্থাটি। তার জন্য অর্ধেক বিমান আগেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সংস্থার ৫ হাজার কর্মী বেতনও পাচ্ছিলেন না নিয়মিত।

 

নিউজটি শেয়ার করুন সোশ্যাল মিডিয়াতে..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর জানতে..