শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০১ পূর্বাহ্ন

পলাতক আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড

  • টাইম আপডেট : মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩
  • ২০ কত বার দেখা হয়েছে
পলাতক আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড

অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদ এই রায় ঘোষণা করেন।

Celebrating novo mobile

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আরাভ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এই মামলায় আরাভ খান পলাতক রয়েছেন। তিনি গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের পর সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র দখলে রাখার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। সরকারি কৌঁসুলি হাফিজুর রহমান তোতা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত রোববার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে গত ২৮ মার্চ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। সে সময় রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানান, এই মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই। পরে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি রবিউল ইসলাম তাঁর শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান। গুলিভর্তি একটি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।

এ ঘটনায় রবিউলের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপপরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু। আসামি রবিউল ইসলাম আপনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের ১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।

একই বছরের ১০ মে আদালত রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এই মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান তিনি। এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

রবিউল ইসলাম রাজধানীর বনানীতে পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলারও আসামি। এ ছাড়া বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন পেয়ে তিনি পলাতক হন এবং নাম পরিবর্তন করে আরাভ খান নাম ধারণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন সোশ্যাল মিডিয়াতে..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর জানতে..