বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মজুদ কয়লা ফুরিয়ে এসেছে

  • টাইম আপডেট : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
  • ২৬ কত বার দেখা হয়েছে
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মজুদ কয়লা ফুরিয়ে এসেছে

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সংকটের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তীব্র গরমের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই যেন দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে লোডশেডিং। এর মধ্যে পূর্বে দেয়া আভাস অনুযায়ী, আজ শনিবার বা আগামীকালের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কেন্দ্রটি।

 

Celebrating novo mobile

মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল চালিকাশক্তি কয়লার মজুদ ফুরিয়ে আসায় বন্ধ হচ্ছে কেন্দ্রটি। কয়লা সংকটে গত ২৫ মে থেকে একটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে।

বড় সক্ষমতার এ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে এবং চলমান তাপপ্রবাহে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়তে থাকলে ৩ থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিদ্যুৎসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কয়েকদিন আগে বলা হয়েছিল, তখন যে পরিমাণ কয়লা মজুদ ছিল তা দিয়ে দ্বিতীয় ইউনিট ৩ জুন পর্যন্ত চালু রাখা যাবে।

মূলত ডলার সংকটে কয়লার ৩৯ কোটি ডলার পরিশোধ করতে না পারায় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র।

আরো বলা হয়েছিল, সরকার কয়লার জন্য ১০ কোটি ডলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। কিন্তু তাতেও আ োপাতত সংকট কাটছে না। কারণ নতুন করে কয়লা আমদানি শুরু হলেও কয়লা আসতে সময় সময় লাগবে আরো ২৫ দিন।

এদিকে লোডশেডিং পরিস্থিতির বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এসএম ওয়াজেদ আলী সরদার বলেন, ‘লোডশেডিং কীভাবে কমানো যায় সে বিষয়টি নিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। মনিটরিং কার্যক্রম সার্বক্ষণিক চলমান।’

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেয়া হবে, জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘পায়রার বিকল্প হিসেবে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বিশেষত পায়রায় ২২৫ মেগাওয়াট, ইউনাইটেড ১০০ মেগাওয়াট এবং বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ারের ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ছোট-বড় সক্ষমতার আরো কয়েকটি কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।’

চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। কেন্দ্রটি চালানোর জন্য কয়লা কিনতে ঋণ দিয়ে আসছে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি)।

নিউজটি শেয়ার করুন সোশ্যাল মিডিয়াতে..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর জানতে..