শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে আগামী ১০ বছরে বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হবে

  • টাইম আপডেট : বুধবার, ১০ মে, ২০২৩
  • ২২ কত বার দেখা হয়েছে
বাংলাদেশে আগামী ১০ বছরে বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হবে

দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, প্রসারিত অর্থনীতি এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর দ্বারা চালিত আগামী দশকে বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে বোয়িং।

আজ বুধবার উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং সক্ষমতা বিষয়ক তাদের কমার্শিয়াল মার্কেট আউটলুক (সিএমও) প্রকাশ করেছে। এটি বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক বিমানের চাহিদা বিষয়ক একটি বার্ষিক পূর্বাভাস।

Celebrating novo mobile

বোয়িংয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বার্ষিক জিডিপি ৫%-এর বেশি হারে বৃদ্ধি পাবে যা বৈশ্বিক জিডিপি প্রবিদ্ধির গড়ের দ্বিগুণেরও বেশি। পাশাপাশি বিমান ভ্রমণের বার্ষিক বৃদ্ধির হার হবে প্রায় ৮.৫%।

এশিয়া প্যাসিফিক ও ভারতের বোয়িং কমার্শিয়াল মার্কেটিং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেভ শাল্টে বলেন, “গত বছর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করায় বাংলাদেশে সক্ষমতা বছরে ১১% বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারতে আঞ্চলিক ট্র্যাফিক বিবেচনায়, আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হবে বলে আমরা মনে করি।”

সিএমও’র পূর্বাভাস অনুযায়ী, যাত্রী ভ্রমণ এবং এয়ার কার্গোর জোরালো চাহিদা মেটাতে, দক্ষিণ এশিয়ার বাহক বা ক্যারিয়ারদের আগামী ২০ বছরে ২৩০০টির বেশি নতুন বাণিজ্যিক বিমানের প্রয়োজন হবে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান ইন-সার্ভিস বিমানবহরের (৭০০টি) তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি হবে বলে জানানো হচ্ছে।

শাল্টে আরও বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা দারুণ সুযোগ দেখতে পাচ্ছি, যেখানে বৃদ্ধির জন্য ভবিষ্যতের বিমানবহরের ৮০%-এরও বেশি প্রয়োজন হবে। আর বাকি ২০% ব্যবহৃত হবে পুরানো অকার্যকর বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য।”

৭৩৭’র মতো সিঙ্গেল-আইল বিমানগুলো দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ বিমানবহরের প্রায় ৯০% ব্যবস্থা করবে, যেখানে এই অঞ্চলের বিমানবহরের ১০% গঠিত হবে ৭৮৭’র মতো প্রশস্ত বা ওয়াইডবডি বিমান দ্বারা। এই দু’টি বিমানের মডেলই বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এবং ইউএস বাংলা-য় চালু রয়েছে।

শাল্টে আরও বলেন, “এই বাজারে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের দ্রুত বৃদ্ধিতে বোয়িং বিমানগুলো চমৎকার ভূমিকা পালন করেছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে বিমানবহরের সাদৃশ্য প্রধান ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে যেহেতু এটি আমাদের এয়ারলাইনে গ্রাহকদের প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিচালনার খরচ এবং ব্যয় কমায়।”

নিউজটি শেয়ার করুন সোশ্যাল মিডিয়াতে..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর জানতে..