বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন

বিমানবন্দরের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ১

  • টাইম আপডেট : শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
  • ২৪ কত বার দেখা হয়েছে
বিমানবন্দরের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ১

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারী পরিচালক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে একজন গ্রেফতার হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে জাবের হোসেন চৌধুরী ওরফে জাহিন চৌধুরীকে (৪০) গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো উত্তর।

Celebrating novo mobile

রাজধানীর মিরপুর ৬০ফিট এলাকায় পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, পেশায় শিক্ষিকা সাকিনা মল্লিক (৫৬) মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেন, তিনি গত ২৮ জানুয়ারি একটি অনলাইন গ্রুপের সঙ্গে নিঝুম দ্বীপে বেড়াতে যান। সেই গ্রুপের সদস্য হিসেবে প্রতারক জাহিন চৌধুরীর (৪০) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আসামি নিজেকে সহকারী পরিচালক অডিট (অ্যাডমিন অ্যান্ড প্ল্যানিং হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। ওই লোকের সঙ্গে তার মোবাইল ফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। অনলাইন গ্রুপের সঙ্গে তিনি ও আসামিসহ আরও কয়েকজন সদস্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এগ্রোফার্ম, শাপাহার, নওগাঁ এবং গত ১৬ মার্চ শ্রীমঙ্গল ও সিলেটে বেড়াতে যান।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিলেট থেকে আসার কিছুদিন পর  জাহিন চৌধুরী তাকে জানায়, চাকরির সুবাদে সরকার তাকে গাড়ি দেবে, যার মূল্য ৮৫ লাখ টাকা। সমপরিমাণ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট অফিসে জমা দিতে হবে। ৮৫ লাখ টাকার বিপরীতে তার ২৮ লাখ টাকা কম আছে। এ কারণে তার কাছ টাকা ধার চায় প্রতারক জাহিন। সরল বিশ্বাসে রাজি হয়ে গত ২৮ মার্চ মিরপুর-১ সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে তার অ্যাকাউন্টে ১১ লাখ টাকার ইলেক্ট্রনিক্স ফান্ট ট্রান্সফার করেন। কিন্তু টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও জাহিন চৌধুরী টালবাহানা করতে থাকে। একপর্যায়ে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

অভিযোগকারীর সন্দেহ হলে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যেগাযোগ করলে জানতে পারেন জাহিন চৌধুরী নামে সেখানে কেউ চাকরি করেন না। বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রতারক জাহিন চৌধুরী বেকার হলেও নিজেকে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। সে লোকজনকে চাকরি দেওয়া, স্বর্ণের বার ও কম মূল্যে গাড়ি নিয়ে দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো। আসামি জানায় টাকা পয়সা আছে এমন লোকজনকে টার্গেট করতেন তিনি।

প্রতারণার মামলায় ইতিপূর্বেও হালিশহর থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিল এবং জামিনে মুক্ত হয়ে একইভাবে বিভিন্ন লোকদের প্রতারিত করে আসছিল বলে জানায় পিবিআই।

নিউজটি শেয়ার করুন সোশ্যাল মিডিয়াতে..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর জানতে..