বিমানবন্দরে যাত্রীবান্ধব পরিবেশ ও যাত্রীদের সঙ্গে “ভালো ব্যবহার” নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে কর্মরত সদস্যদের জন্য একটি কোর্স চালু করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সকল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য
“প্যাসেঞ্জার সার্ভিস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন ইন সিভিল এভিয়েশন কোর্স” নামে এই কোর্সটিতে অংশ নেবেন বিমানবন্দরে কর্মরত ৫৬টি বিভিন্ন সংস্থার ১৫০০ জন সদস্য।
গতকাল বুধবার (১ মার্চ) সিভিল এভিয়েশন একাডেমির সম্মেলন কক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কোর্সের উদ্বোধন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
কোর্সটিতে প্রথম ধাপে শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, এপিবিএন, বিমানবন্দর স্বাস্থ্য, জাতীয় গোয়েন্দা নিরাপত্তা সংস্থা, এভসেক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বিদেশি বিমান সংস্থার মোট ৩০ জনকর্মকর্তা অংশগ্রহণ করবেন। এই কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের গর্বের প্রতীক হিসেবে “সম্মানিত যাত্রী সর্বাগ্রে” শিরোনাম সম্বলিত একটি মেডেল এবং সনদ প্রদান করা হবে।
বিমানবন্দরে কর্মরত সকল সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরি, যাত্রী সাধারণের আকাশ পথে নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, “আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান সংস্থা তথা আইকাও প্রণীত মানদণ্ড অনুসারে বেবিচকের পৃষ্ঠপোষকতায় অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকমণ্ডলীর তত্ত্বাবধানে এই কোর্সটি সম্পাদিত হলে বিমানবন্দরের যাত্রী সেবায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেবিচকের চেয়ারম্যান বলেন, “জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এবং বিমানবন্দরগুলোর দীর্ঘদিনের যাত্রী হয়রানি প্রতিকারকল্পে এই কোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের সকল বিমানবন্দরে কর্মরত প্রতিটি সংস্থার সদস্যদের জন্য এই কোর্স পরিচালনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেবিচক অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিমানবন্দরগুলোর যাত্রী সাধারণের যাত্রা নিরাপদ, আনন্দময় ও আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার জন্য এই কোর্স ক্রমান্বয়ে পরিচালনা করে যাবে।”