বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন

ভুটানকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

  • টাইম আপডেট : রবিবার, ৭ মে, ২০২৩
  • ২০ কত বার দেখা হয়েছে
ভুটানকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য ভুটানকে প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বাসস।

Celebrating novo mobile

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় লন্ডনের হোটেল ক্ল্যারিজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগায়েল ওয়াংচুক ও রানি গায়ালতসুয়েন জেতসুন পেমা বৈঠক করেন। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভুটানকে অর্থনৈতিক অঞ্চল দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

এর আগে হোটেলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ভুটানের রাজা ও রানিকে স্বাগত জানান। বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভুটানের রাজা ও রানি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভুটানের রাজা বলেন, তাদের দেশেও তারা একটা অ্যাডমিনিসট্রেটিভ ইকোনোমিক জোন করতে চান। যেখানে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসে।

 

ভুটানের রাজা আরও বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল করা নিয়ে তারা খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কারণ, তারা (ভুটান) তাদের পরিবেশকে দূষিত করতে চান না। তারা সুখী দেশ। কোনভাবে পরিবেশকে বিকৃত করতে চান না।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশে অনেকগুলো অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। আপনারা আমাদের দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে পারেন। এটি ভুটান অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা ইন্ডিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া সবাইকে একের অধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল দিয়েছি। আপনারা চাইলে আমরা একটা অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে পারি।’

 

প্রতিবেশীদের সঙ্গে আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বাড়ানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব প্রতিবেশির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছি।’ এ প্রসঙ্গে ভুটানের রাজা বলেন, এটা ভালো হয়েছে। রেলওয়ে কানেকটিভিটি প্রসঙ্গে ভুটানের রাজা বলেন, আগামীতে তারা এটা করতে চান।

রাজা বলেন, ‘আমি দুটা চাই। একটা হচ্ছে ভারতের মধ্য দিয়ে, আরেকটা হচ্ছে আমি ডাইরেক্ট ট্রানজিট চাই। সরাসরি প্রবেশ চাই বাংলাদেশে।’ এ সময় ভুটানের রাজার এই চাওয়াকে সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। সেজন্য ভারতকে কিছু বলতে হলে আমরা সেটা বলব।’

বাংলাদেশকে কানেকটিভিটির হাব হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ভুটানের জন্য বাংলাদেশের দুটি বন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের সুযোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ভুটানের রাজা ও রানি বলেন, ‘আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তারা সবাই বাংলাদেশে পড়াশোনা করেছে। এজন্য আমাদের দেশের মানুষের বাংলাদেশের প্রতি একট বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে।’

বাংলাদেশে বেড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করে ভুটানের রাজা ও রানি বলেন, তারা বাংলাদেশে আরও সফর করতে চান। রাষ্ট্রীয়ভাবে না, তারা বাংলাদেশে বেড়াতে চান। বাংলাদেশের সংস্কৃতি তাদের খুব পছন্দ। তারা ভিজিটর হিসেবে বাংলাদেশে বেড়াতে চান।

ভুটানের রাজা-রানির এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দুয়ার সবসময় আপনাদের জন্য খোলা।’

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।

নিউজটি শেয়ার করুন সোশ্যাল মিডিয়াতে..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর জানতে..