সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:২২ অপরাহ্ন

মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগি

  • টাইম আপডেট : শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩
  • ২২ কত বার দেখা হয়েছে
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগি

বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ থেকে নতুন করে বিদেশি কর্মী নেওয়ার কোটা অনুমোদনের আবেদন স্থগিত করেছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার (১৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার জানান, ফরেন ওয়ার্কার এমপ্লয়মেন্ট রিল্যাক্সেশন প্ল্যানে (পিকেপিপিএ) বিদেশি কর্মীদের জন্য কোটার আবেদন ও অনুমোদন ১৮ মার্চ থেকে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।

Celebrating novo mobile

গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সেক্টর থেকে বিদেশি কর্মীদের জন্য মোট ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৬টি কর্মসংস্থান কোটা মন্ত্রণালয় অনুমোদন করার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ দিকে মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত কোটার তুলনায় বিদেশি কর্মীর প্রবেশের সংখ্যা এখনও কম।

গত ৫ মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ২১ জন কর্মী গেছেন মালয়েশিয়ায়। এ ছাড়া ৫ মার্চ পর্যন্ত জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৫০০ জনকে।

অন্যদিকে, গত ৫ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা বাংলাদেশ থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩ জন কর্মী নিতে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছেন। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের জন্য এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩ কোটা অনুমোদন দিয়েছে।

এর আগে গত ১ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম-কল্যাণ উইং থেকে ২ লাখ ১৯৯ কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্রে সত্যায়ন করা হয়েছে। মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের ভিসা ইস্যুতে সহযোগিতা করা প্রতিষ্ঠান এমইএফসি থেকে ই-ভিসা ইস্যু করা হয়েছিল ১ লাখ ২২ হাজার ২টি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমারের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা আয়োজনের অনুরোধ জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী।

২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ছিল বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ। দীর্ঘ দেনদরবার ও নানা অনিশ্চয়তার পর ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর কর্মী নিয়োগে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। ২০২২ সালের ২ জুন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানানের নেতৃত্বে ঢাকায় দুই দেশের বৈঠকে কারিগরি বিষয়সহ অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান হয়। শ্রমবাজার খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন দুই মন্ত্রী। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ২০২২ সালের ৮ আগস্ট থেকে কর্মী যাওয়া শুরু হয় মালয়েশিয়ায়।

শুরুতে ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়ার ঘোষণা দেয় মালয়েশিয়া সরকার। পরে দুই দফায় আরও ৭৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্ত করে দেশটি।

নিউজটি শেয়ার করুন সোশ্যাল মিডিয়াতে..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর জানতে..