আর কয়েক দিন পরই শুরু হবে মুসলমানদের ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির মাস রমজান। এর মধ্যে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রমজানের বেচাকেনার ধুম পড়েছে। এসব দেশের সুপার মার্কেট, বড় বড় চেইন শপ থেকে শুরু করে ছোট দোকানেও শুরু হয়েছে মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতা। রজমজানজুড়ে খাদ্যপণ্য, গৃহসামগ্রী, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যে কোম্পানিগুলো একটার সাথে আরেকটা ফ্রি ছাড়াও প্রায় সব পণ্যের ওপরই ১০% থেকে ৫০% মূল্য ছাড় দিচ্ছে।
রজমান উপলক্ষে কুয়েতের রাস্তাঘাট আর শপিংমলগুলোতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। কুয়েতের সালমিয়া, ফরওয়ানিয়া, মুরগাবসহ বিভিন্ন সুপার শপগুলো ঘুরে দেখা যায়, কম দামে পছন্দের পণ্য কিনতে পেরে ক্রেতারাও খুশি। অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজানে বেচাবিক্রির হিড়িক পড়ে। সন্ধ্যা থেকে
মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় ও প্রবাসীদের অনেকে ঘুরতে এসেও মূল্যছাড়ের লোভে পড়ে পণ্য কিনে থাকেন।
অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে কুয়েতে বলদিয়াসহ একাধিক সরকারি সংস্থা পণ্যের মান ও দাম নজরদারি করে। কোনো ধরনের অনিয়ম দেখলে সাথে সাথে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়। ব্যবসায়ীরাও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিছু কিছু পণ্যে সরকার ভর্তুকি দিয়ে থাকে। কোম্পানিগুলোও নিজে থেকে উৎসাহিত হয়ে মূল্য ছাড় দিয়ে থাকে।
আবুল কাসেম, রহিম উদ্দিনসহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, লুলু হাইপার মার্কেট, সিটি সেন্টার, গ্রান্ড হাইপার, ক্যারিফোরসহ অনেক শপিংমল ও সুপার মার্কেটগুলো শুধু ছাড় ঘোষণা করেই বসে নেই। তাদের এই মূল্যছাড়ের খবর পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন ছাড়াও বুকলেট ছাপিয়ে বাসার দরজায় পৌঁছে দিচ্ছে। রোজার কিছুদিন বাকি থাকলেও মূল্যছাড়ে প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সাথে শপিংমলে আসছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।