রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৪ অপরাহ্ন

৪০ বছরে গড়ে ওঠা ব্যাংক মূলধন সংকটে ৪৮ ঘণ্টাও টিকতে পারল না

  • টাইম আপডেট : রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩
  • ২০ কত বার দেখা হয়েছে
৪০ বছরে গড়ে ওঠা ব্যাংক মূলধন সংকটে ৪৮ ঘণ্টাও টিকতে পারল না

২০০৮ সালের পর ব্যাংক খাতে দ্বিতীয় বড় বিপর্যয় দেখল যুক্তরাষ্ট্র। মূলধন সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি)। প্রযুক্তিনির্ভর নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠায় ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ছিল এসভিবি।

গত শুক্রবার ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছে ফেডারেল ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি)। আর এই খবরে হতাশা নেমে এসেছে শিল্পকারখানায়।

Celebrating novo mobile

এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকে জমা করা অর্থের কী হবে, তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেক আমানতকারী ও প্রতিষ্ঠান। তবে এফডিআইসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্যাংকের সম্পদ বিক্রি করে আমানতকারী বা পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে। এসভিবির বীমাকৃত আমানত রক্ষা করবে ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স ন্যাশনাল ব্যাংক অব সান্তা ক্লারা।

অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে দেখা যাচ্ছে, এসভিবির গ্রাহকরা অজানা আতঙ্কে নিমজ্জিত হয়েছেন। এ ব্যর্থতার জের হিসেবে অচিরেই আরও কয়েকটি ব্যাংকে তালা ঝুলতে পারে।

২০০৮ সালে মন্দার সময় এমন নাজুক পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল আরও কয়েকটি ব্যাংক। সেটি ছিল আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ব্যর্থতার প্রথম ঘটনা। আর এবারের ঘটনাটি দ্বিতীয় ব্যর্থতার উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

৪০ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছিল এসভিবি। গত বছরের শেষার্ধে এর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২০৯ বিলিয়ন ডলার এবং আমানত ছিল ১৭৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের। শুক্রবার এটি দেউলিয়া হওয়ার প্রাক্কালে বিক্রির উদ্যোগ নিলে একজন ক্রেতাও এগিয়ে আসেননি। আর এ অবস্থার প্রভাব পড়েছে শেয়ার মার্কেটে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার ব্যাংকের গ্রাহকরা ডলার ওঠাতে গিয়ে জানতে পারেন এসভিবির কোষাগারে অর্থ নেই। অথচ এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে ১৬তম বৃহত্তম ব্যাংক। তবে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে ট্রেজারি সেক্রেটারি (অর্থমন্ত্রী) জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, ব্যাংকিং সিস্টেম তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে সক্ষম।

সিএনএন জানায়, এসভিবির চাকা ঘোরা বন্ধ হতে থাকে বুধবার। এদিন ব্যাংক এক ঘোষণায় জানায়, কিছু সম্পদ বিক্রি করে তাদের ১৮০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। ব্যালেন্স শিট শক্তিশালী করতে ২২৫ কোটি ডলারের নতুন শেয়ার বিক্রি করবে তারা।

ওই ঘোষণার পর প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নেয় তারা। এতে এসভিবি ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপের শেয়ারের দাম ৬০ শতাংশ পড়ে যায়। ফলে দুই দিনে দরপতন হয় ৮৪ শতাংশ।

বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার মধ্যে ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন মিউচুয়াল ব্যাংকের কার্যক্রম স্থগিত করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা, যার সম্পদমূল্য ছিল ৩০৭ বিলিয়ন ডলার। এর ১৫ বছর পর এসভিবি যখন বন্ধ হল, তখন ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন সোশ্যাল মিডিয়াতে..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর জানতে..